সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর আজ সচিবালয়স্থ তাঁর কার্যালয়ে Youngone Corporation ও Korean EPZ এর চেয়ারম্যান Kihak Sung এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাত ও এক বৈঠকে মিলিত হন। Youngone Corporation এর আর্থিক সহযোগিতার বড় সর্দারবাড়ীর রেস্টোরেশন (পুনরুদ্ধার) কাজের অগ্রগতি ও এ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বৈঠকে আলোচনা করা হয়। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মশিউর রহমান, মাহবুবা মশকুর ও প্রত্নতত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ আলতাফ হোসেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশে কোরিয়ার যে সব কোম্পানী/প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ আছে তারমধ্যে Youngone Corporation এর বিনিয়োগ অন্যতম। প্রতিষ্ঠানটি ব্যবসার পাশাপাশি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের বিষয়টিকেও প্রাধান্য দিয়ে থাকে। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের অভ্যন্তরে অবস্থিত ১৯০১ সালে নির্মিত দৃষ্টিনন্দন প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা ‘বড় সর্দার বাড়ী’র সংস্কার,সংরক্ষণ, পুনরুদ্ধারসহ এ সংক্রান্ত কাজের জন্য প্রতিষ্ঠানটি ২০১৩ সালে তিন বছর মেয়াদে ১০ কোটি টাকা প্রদানের ঘোষণা দেয় এবং সে সময় থেকে এর আর্থিক সহযোগিতা ও ব্যবস্থাপনায় যে কাজগুলো এগিয়ে চলছে তা হলো-বড় সর্দার বাড়ীর ডকুমেন্টেশন,রেস্টোরেশন, কনজারভেশনসহ এ সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি। ইতোমধ্যে ৭৫% কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকী কাজ এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। কাজগুলো সম্পন্ন হলে বড় সর্দারবাড়ীর অবয়ব প্রতিষ্ঠার সময় যে অবস্থায় ছিল সে অবস্থায় ফিরে আসবে এবং বেশ কিছু আধুনিক সুবিধা সম্বলিত হওয়ায় তা পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় হবে।
বৈঠকে সংস্কৃতিমন্ত্রী বলেন, কোরিয়া বাংলাদেশের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধুরাষ্ট্র। স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে দু’দেশ বিভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে একে অপরের সাথে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক এতিহ্যের পুনরুদ্ধার,সংস্কার ও সংরক্ষণে কোরিয়ার বিশেষ অবদানের কথা উল্লেখ করে আসাদুজ্জামান নূর বলেন, Youngone Corporation এর আর্থিক সহযোগিতা ও ব্যবস্থাপনায় বড় সর্দার বাড়ীর রেস্টোরেশনের যে কাজ এগিয়ে চলছে তা অসাধারণ। শুধু আর্থিক দিক দিয়েই নয়, তাদের সুদক্ষ হাতে স্থাপনাটি পূর্বের রুপ ফিরে পতে যাচ্ছে। আমাদের ঐতিহাসিক স্থাপনা ও ঐতিহ্যের সংরক্ষণে তাদের এ অবদান জনগণ কৃতজ্ঞতাভরে স্মরণ করবে এবং এ রকম সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশাপোষণ করেন।
Kihak Sung বলেন, বাংলাদেশের সাথে কোরিয়ার বন্ধন সুদৃঢ়। সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, শিক্ষা,প্রযুক্তি, অবকাঠামো, ব্যবসা বাণিজ্যসহ বিভিন্ন বিষয়ে দু’দেশ পরষ্পরের প্রতি আস্থাশীল থেকে কাজ করে যাচ্ছে।
বড় সর্দারবাড়ীর রেস্টোরেশন কাজে আর্থিক সাহায্যের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ রকম একটি প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত ঐতিহাসিক স্থাপনা পুনরুদ্ধারের কাজে আর্থিক সাহায্য ও কারিগরী সহযোগিতা করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।
পানাম নগরী দৃষ্টিনন্দন ও চিত্তাকর্ষক উল্লেখ করে তিনি বলেন, শুধু বড় সর্দারবাড়ী নয়, এ নগরীর সংস্কার, পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ জরুরী। সর্বাগ্রে এ নগরীর ডকুমেন্টেশন ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণ প্রয়োজন। এ নগরীর রেস্টোরেশন কাজেও তারা সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত বলে তিনি মন্তব্য করেন।