Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৩rd মার্চ ২০১৬

জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র আয়োজিত সেমিনারে সংস্কৃতিমন্ত্রী


প্রকাশন তারিখ : 2016-03-22

সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, সন্তানদের পাঠাভ্যাসে আগ্রহী করতে অভিভাবকদের ভূমিকা অত্যন্ত জরুরী। তিনি বলেন, সন্তানরা সর্বাগ্রে মা-বাবার কাছ থেকে শেখে। তারা অভিভাবকদের কাছ থেকে কোন কিছু শুনতে শুনতে তাতে ধীরে ধীরে আগ্রহী হয়ে ওঠে। একজন সন্তানকে শিশু বয়সে প্রথমেই কোন বিষয়ে পড়তে বললে তা তার কাছে আনন্দহীন হতে পারে,বিরক্তির কারণ হতে পারে। কিন্তু সে যদি কোন গল্প বা মজার বিষয় মা-বাবার কাছ থেকে শোনে বা তারা তাকে পাঠ করে শোনায় এবং তাতে সে আনন্দ পায় তাহলে নিজে পড়ার প্রতি সে ধীরে ধীরে আগ্রহী হয়ে উঠবে। এভাবে আমরা নতুন প্রজন্মকে পরবর্তীতে একজন ভাল পাঠক হিসেবে পেতে পারি।

আজ জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র মিলনায়তনে গ্রন্থকেন্দ্র আয়োজিত ‘জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনে বেসরকারি গ্রন্থাগারের ভূমিকা’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির ভাষনে তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক মো: আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি ও প্রধান নির্বাহী অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের  ট্রাস্টি মফিদুল হক উপস্থিত ছিলেন।

এতে স্বাগত ভাষণ দেন জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের উপপরিচালক সুহিতা সুলতানা। বিষয়ের ওপর দীর্ঘ প্রবন্ধ পাঠ করেন গ্রন্থাগার বিশেষজ্ঞ কাজী আব্দুল মাজেদ। প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনমীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ওসমান গনি ও বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের সচিব মো: মনজুর হোসেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্য সংস্কৃতিমন্ত্রী বলেন, গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে আগে সামাজিক উদ্যোগ বেশী ছিল। এখন একটু কম। মানুষের নানামুখী ব্যস্ততাসহ অনেক কারণের জন্য হয়তো এমন হয়েছে। তবে একথা ঠিক যে আগের থেকে এখন পাঠক অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। মানুষ বই কিনতে চায়, পড়তে চায়। অমর একুশে গ্রন্থমেলা, বিভাগীয় ও জেলা বইমেলাসহ বিভিন্ন বইমেলায় মানুষের আগ্রহ দেখলেই তা বোঝা যায়। তবে এটি যথেষ্ট নয়। পাঠাভ্যাস বৃদ্ধিতে নতুন নতুন উদ্যোগ নেয়া জরুরী।

আসাদুজ্জামান নূর বলেন, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র ও গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর দু’টি আলাদা ও স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবেই থাকবে। এক্ষেত্রে অস্পষ্টতার কোন কারণ নেই। শাহবাগে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর  প্রাঙ্গণে বহুতল ভবন নির্মাণ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে এবং সেখানে গ্রন্থকেন্দ্রকে স্থানান্তর করা হবে। অর্থাৎ জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র ও গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর একই ভবনে থাকবে। প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে এ ভবন নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছেন। অচিরেই নির্মাণ কাজ শুরু হবে।

তিনি বলেন, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের বর্তমান অবস্থান ও কাজের পরিবেশ অনুকূল নয়। লোকবল, বাজেটও  পর্যাপ্ত নয়। ফলে প্রতিষ্ঠানটি প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করতে পারছেনা।  গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর প্রাঙ্গণে প্রস্তাবিত বহুতল ভবনে স্থাপিত হলে প্রতিষ্ঠানটি ব্যাপক পরিসরে কাজ করতে পারবে এবং বেসরকারি লাইব্রেরিসমূহকেও তদারকি করতে পারবে।

তিনি আরও বলেন, পাঠাভ্যাস বৃদ্ধিতে সরকারি গ্রন্থাগারের পাশাপাশি বেসরকারি গ্রন্থাগারসমূহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের মাধ্যমে সেসব গ্রন্থাগারকে আমরা যে আর্থিক অনুদান দিয়ে থাকি তা প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট নয়। তবে এর মাধ্যমে উৎসাহ সৃষ্টি হয়েছে এবং সে প্রক্রিয়ায় দেশে নতুন নতুন পাঠাগারের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভবিষ্যতে আর্থিক অনুদানের পরিমাণ ও সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে এবং গ্রন্থকেন্দ্র কর্তৃক বিভিন্ন বেসরকারি পাঠাগারে প্রেরিত বইয়ের মান নিয়ে কোন প্রশ্ন থাকলে তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।