Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৭ ডিসেম্বর ২০১৬

চট্টগ্রামে ‘আন্তর্জাতিক আর্ট ক্যাম্প’ উদ্বোধন করলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী


প্রকাশন তারিখ : 2016-12-06

সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর আজ ০৬ ডিসেম্বর ২০১৬ দুপুরে চট্টগ্রামের আনোয়ারায় অবস্থিত কোরীয় রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (কেইপিজেড) তিনদিনব্যাপী আন্তর্জাতিক আর্ট ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন। গতকাল (সোমাবার) এ ক্যাম্প শুরু হলেও আজ (মঙ্গলবার) আনুষ্ঠানিকভাবে সংস্কৃতিমন্ত্রী তা উদ্বোধন করেন। আগামীকাল বুধবার এ আর্ট ক্যাম্প শেষ হবে।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে ৫৫ দেশের অংশগ্রহণে ১ ডিসেম্বর ২০১৬ থেকে শিল্পকলার চিত্রশালার প্লাজায় শুরু হওয়া মাসব্যাপী ১৭তম এশীয় দ্বিবার্ষিক চারুকলা প্রদর্শনীর অংশ হিসেবে কেইপিজেডে এ আন্তর্জাতিক আর্ট ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে সহযোগিতা প্রদান করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়ংওয়ান কর্পোরেশন।
ছয়টি দেশের ১৯জন বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী এতে অংশ নিয়েছেন। শিল্পীগণ হলেন-বাংলাদেশের সমরজিৎ রায় চৌধুরী, হাশেম খান, রফিকুন নবী, মনিরুল ইসলাম, মাহমুদুল হক, কালিদাস কর্মকার, সৈয়দ আবুল বারক আলভি, ফরিদা জামান, নাঈমা হক, নাজলী লায়লা মনসুর, মোহম্মদ ইউনুস, রোকেয়া সুলতানা, মুনিরুজ্জামান ও মোহম্মদ ইকবাল, ভারতের ধীরাজ চৌধুরী (Dhiraj Chowdhury), চীনের তাং চি কোং (Tang Zhi Gang), জাপানের টয়োমি হোসিনা (Toyomi Hoshina), দক্ষিণ কোরিয়ার সং ডেসুপ (Song Daesup) এবং শ্রীলংকার জগৎ রবীন্দ্রা (Jagath Rabindra)।
তিনদিনের এ আর্টক্যাম্পে প্রত্যেক শিল্পী দু’টি করে ছবি আঁকবেন। সেই ছবি প্রদর্শিত হবে ১৮তম এশীয় দ্বিবার্ষিক চারুকলা প্রদর্শনীতে।
আর্ট ক্যাম্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংস্কৃতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতিসহ সব দিক দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। ১৭তম এশীয় দ্বিবার্ষিক চারুকলা প্রদর্শনী এক্ষেত্রে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত যেখানে পৃথিবীর ৫৫টি দেশ অংশগ্রহণ করেছে। এর অংশ হিসেবে প্রথমবারের মতো চট্টগ্রামে তিনদিনব্যাপী আন্তর্জাতিক আর্ট ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছে। এটি আমাদের শিল্প-সংস্কৃতির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ঘটনা।
তিনি বলেন, কিছু অন্ধকারের শক্তি আমাদের সাফল্যকে ম্লান করে দিতে অপচেষ্টা চালাচ্ছে, হলি আর্টিজনের ঘটনা ঘটিয়ে বহির্বিশ্বে এদেশের ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ করার হীন চক্রান্ত লিপ্ত রয়েছে। কিন্তু বর্তমান সরকারের দৃঢ়তা ও জনগণের সম্মিলিত প্রতিরোধে তাঁরা প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। এর ফলে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ প্রশংসিত হয়েছে। তাঁরা জেনেছে এদেশে মৌলবাদ-জঙ্গীবাদের কোন স্থান নেই। তাইতো তাঁরা আমাদের ওপর আস্থা রেখেছে এবং এই প্রথম এশীয় দ্বিবার্ষিক চারুকলা প্রদর্শনীতে এতো দেশ অংশগ্রহণ করেছে। আমাদের দেশের ভাবমূর্তিকে বহির্বিশ্বে আরও উজ্জ্বল করতে এমন আয়োজন অনবদ্য ভূমিকা রাখবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের উল্লিখিত শিল্পীগণ সবাই উপস্থিত ছিলেন।