Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৭ August ২০১৫

জাতীয় কবির ৩৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর সমাধিতে সংস্কৃতিমন্ত্রীর পুষ্পস্তবক অর্পণ


প্রকাশন তারিখ : 2015-08-27
সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর আজ ২৭ আগস্ট ২০১৫ (১২ ভাদ্র ১৪২২) বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৩৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়স্থ তাঁর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছেন। এসময় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব আক্‌তারী মমতাজ, নজরুল ইন্সটিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ইকরাম আহমেদ, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ আলতাফ হোসেন, আরকাইভস্ ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তরের পরিচালক ওদুদুল বারী চৌধুরী, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন পরিচালক রবীন্দ্র গোপসহ এ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন অঙ্গ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সংস্কৃতিমন্ত্রী বলেন, জাতীয় কবি নজরুলের সাথে আমরা বেড়ে উঠেছি। ছোটবেলায় তাঁর ছড়া-কবিতা থেকে শুরু করে কৈশোর, যৌবনসহ জীবনের প্রতিটি ধাপে তিনি আমাদের সাথে আছেন। আমাদের স্বাধীকার ও স্বাধীনতার আন্দোলনে তিনি ছিলেন অন্তহীন প্রেরণার উৎস। তাঁর গল্প, কবিতা কণ্ঠে ধারণ করে আমরা অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে স্বোচ্চার হয়েছি, প্রতিরোধে অগ্রণী হয়েছি।
আসাদুজ্জামান নূর বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদাত্ত আহ্বানে বাঙালি জাতি যখন মহান স্বাধীনতার সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, মহান মুক্তিযুদ্ধের সেই পুরো ৯ মাস জুড়ে নজরুল ছিলেন আমাদের শক্তি ও সাহসের উৎস হয়ে। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে সম্প্রচারিত তাঁর গান ও কবিতা মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দীপ্ত করতো। গ্রাম-গঞ্জের কৃষক ও শ্রমিকদের কাছেও পৌঁছে গিয়েছিল তাঁর বিদ্রোহের বাণী। 
তিনি বলেন, নজরুল ছিলেন একজন মুক্তমনা, অসাম্প্রদায়িক, শিল্প সুষমাম-িত সৃজনশীল ব্যক্তিত্ব। বাংলা সাহিত্যের প্রায় সকল শাখাতেই তিনি তার অনন্য প্রতিভার সাক্ষর রেখেছেন। তাঁর সাহিত্য ভা-ার আমাদের অমুল্য সম্পদ।
সংস্কৃতিমন্ত্রী বলেন, আজ যখন বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিকসহ সবক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে, নিম্ম আয়ের দেশ থেকে নিম্ম মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে এবং মধ্য আয়ের দেশের দিকে অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখেছে, যখন আমাদের উন্নয়ন ও অর্জন স্পষ্ট থেকে স্পষ্টতর হচ্ছে, যখন বাংলাদেশকে পরিগণিত করা হচ্ছে উন্নয়নের মডেল হিসেবে ঠিক তখন সাম্প্রদায়িক শক্তিগুলো ধর্মের নামে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে, সাম্প্রদায়িকতার বীজ বুনতে অপচেষ্টা চালাচ্ছে। উন্নয়নের যাত্রাকে রুদ্ধ করতে তাঁরা নানা প্রক্রিয়ায় তৎপর রয়েছে। এসব সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদেরকে রুখে দাঁড়াতে হবে। আর এজন্য নজরুলকে আমাদের সাথে রাখতে হবে। তার কর্ম, চিন্তা-চেতনা ও দর্শনকে আমাদের মাঝে ধারণ করতে হবে। সব মানুষের কাছে বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের কাছে নজরুলকে পৌঁছে দিতে হবে। জাতীয় কবির আদর্শ, অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও সৃষ্টিকর্মকে আমরা পুরোপুরি ধারণ ও লালন করতে পারলেই সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে আমরা যে যুদ্ধ ঘোষণা করেছি সে যুদ্ধে জয়ী হতে পারবো এবং গড়তে পারবো বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ।