Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২২nd জুন ২০১৬

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আওতাধীন দপ্তর/সংস্থাসমূহের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি ২০১৬-১৭ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান


প্রকাশন তারিখ : 2016-06-22

আজ সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভকক্ষে এ মন্ত্রণালয় ও অধীনস্থ ১৭টি দপ্তর/সংস্থার মধ্যে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জন্য ‘বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি’ স্বাক্ষর হয়েছে। এ চুক্তিতে মন্ত্রণালয়ের পক্ষে সচিব আক্‌তারী মমতাজ ও দপ্তর/সংস্থার পক্ষে এর প্রধানগণ স্বাক্ষর করেন। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মশিউর রহমান ও মাহমুদা আখতার মীনা, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ আলতাফ হোসেন, গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আশীশ কুমার সরকার, নজরুল ইন্সটিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ইকরাম আহমেদ, গ্রন্থাগার ও আরকাইভস্ অধিদপ্তরের পরিচালক ওদুদুল বারী চৌধুরী, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউণ্ডেশনের পরিচালক রবীন্দ্র গোপ, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক মোঃ আক্তারুজ্জামান, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সচিব জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরীসহ অন্যান্য দপ্তর/সংস্থার প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।

এ মন্ত্রণালয়ের দপ্তর/সংস্থাগুলো হলো- বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমি, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর, আর্কাইভস্ ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তর, গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউণ্ডেশন, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র, কপিরাইট অফিস, নজরুল ইনস্টিটিউট, কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট (রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি), ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমী, বিরিশিরি, নেত্রকোণা, রাজশাহী বিভাগীয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমী, রাজশাহী ও মণিপুরী ললিতকলা একাডেমী, মৌলভীবাজার।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সংস্কৃতিসচিব আক্‌তারী মমতাজ বলেন, আজ এ মন্ত্রণালয়ের সাথে এর দপ্তর/সংস্থাসমূহের যে বার্ষিক কর্মসম্পদন চুক্তি স্বাক্ষরিত হলো তা একটি তাৎপর্যময় ঘটনা। এটি আমাদের জন্য আনন্দের দিন, এ অর্থবছরের জন্য শুভ সূচনার দিন। এ চুক্তিটি আমাদের স্বপ্নের একটি প্রকাশ। ২০২১ সালের মধ্যে আমরা যে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার স্বপ্ন দেখছি, ২০৪১ সালের মধ্যে একটি আধুনিক ও উন্নত জাতি হিসেবে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছি, সে স্বপ্ন পূরণের পথে এ চুক্তি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতিগত কৌশল।  মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও গতিশীলতা আনয়নে এ চুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। কর্মকর্তাদের দায়িত্বশীলতা ও দক্ষতা বাড়াতেও এ চুক্তি সাহায্য করবে। ফলে মন্ত্রণালয়ের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পরিপূর্ণভাবে অর্জিত হবে এবং প্রদেয় সেবার মান বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সব সূচকে দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। এ উন্নয়নের যাত্রাকে আরো বেগবান করার লক্ষ্যে সরকার কর্তৃক কাজের ক্ষেত্রে কিছু লক্ষ্যমাত্রা ও কৌশল নির্ধারণ করা হয়েছে। এর অংশ হিসেবে বার্ষিক কর্মসম্পদন চুক্তির প্রবর্তন করা হয়েছে। এটি সরকারি কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে একটি অঙ্গীকার, যার মাধ্যমে তাঁরা সততা, দায়িত্বশীলতা, সৃজনশীলতা ও শ্রমের বিনিময়ে একটি সুখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

উল্লেখ্য, সরকারি কাজে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, দায়িত্বশীলতা ও গতিশীলতা আনয়নের জন্য সরকার বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির প্রবর্তন করেছে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৪৮টি মন্ত্রণালয়/বিভাগের সঙ্গে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি চালু হয়। মন্ত্রণালয়/বিভাগের কার্যক্রম পদ্ধতি নির্ভর থেকে ফলাফল নির্ভর করা এ চুক্তির উদ্দেশ্য। প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা বৃদ্ধি ও একই সঙ্গে সম্পদের উত্তম/যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করাও এ চুক্তির অন্যতম লক্ষ্য। এ চুক্তির আওতায় একটি অর্থবছরে মন্ত্রণালয়/বিভাগের মধ্যে কি কি কার্য সম্পাদন করা হবে, কিভাবে করা হবে সূচকের ভিত্তিতে তার রূপরেখা নির্ধারণ করা হয়। এর মাধ্যমে সরকারি দপ্তরের কার্যক্রম বস্তুনিষ্ঠ পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন করা সম্ভব হবে, যা সরকারের রূপকল্প বাস্তবায়নে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।