Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৩ এপ্রিল ২০১৬

সংস্কৃতিমন্ত্রীর সাথে ভারতের হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ ও বৈঠক


প্রকাশন তারিখ : 2016-04-12

সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে তাঁর অফিস কক্ষে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার Harsh Vardhan Shringla এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও বৈঠক করেন। এতে দু’দেশের সংস্কৃতি বিনিময়সহ সংস্কৃতি সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করা হয়। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব আক্‌তারী মমতাজ, অতিরিক্ত সচিব মাহমুদা আখতার মীনা ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: আলতাফ হোসেন এসময় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশে নবনিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনারকে স্বাগত জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ভারত বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত বন্ধু। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, অবকাঠামো, জ্বালানী ও বিদ্যুৎ, ব্যবসা, সংস্কৃতি, ক্রীড়া, গণমাধ্যম প্রভৃতি পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে দু’দেশ আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ভারতের আর্থিক সহযোগিতায় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত কুষ্টিয়ার শিলাইদহ রবীন্দ্র কুঠিবাড়িতে রবীন্দ্র ভবন ও তৎসংলগ্ন অবকাঠামো নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এরকম আরও বিভিন্ন ইস্যুতে সম্মিলিতভাবে কাজ করার মাধ্যমে দেশ দু’টি বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী বলেন, এদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি হাজার বছরের প্রাচীন। আমাদের আবহমান সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের উন্নয়ন ও বিকাশে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে ভারতের সাথে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক বিনিময় চুক্তি বিদ্যমান রয়েছে। এ চুক্তির আওতায় বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক দল বিভিন্ন সময় ভারত সফর করেছে ও ভারতের সাংস্কৃতিক দল বাংলাদেশ সফর করেছে এবং তা চলমান আছে। সংস্কৃতির এ বিনিময় দু’দেশের জনগণকে পরস্পরের আরও কাছে এনেছে।
তিনি বলেন, আমাদের সংস্কৃতি বিনিময় বেশীরভাগ ক্ষেত্রে ভারতের কলকাতার মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে। অন্যান্য প্রদেশের মধ্যেও তা বিস্তৃত করার ব্যাপারে মন্ত্রী বৈঠকে গুরুত্বারোপ করেন এবং এক্ষেত্রে ভারতের সহযোগিতা কামনা করেন।
সৌজন্য সাক্ষাতে ভারতের হাইকমিশনার বলেন, পারস্পরিক সম্পর্ক দৃঢ়করণে সংস্কৃতি বিনিময় অপরিহার্য একটি বিষয়। বাংলাদেশ ও ভারতের সংস্কৃতির মধ্যে ব্যাপক সাদৃশ্য বিদ্যমান। সংস্কৃতি বিনিময়ের মাধ্যমে দু’দেশের জনগণ পরস্পরের সংস্কৃতিকে আরও জানতে পারছে। এর মাধ্যমে দু’দেশের মৈত্রীর বন্ধন আরও অটুট হচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে অনেক শিল্পী ভারতে যায়। ভারত থেকেও বাংলাদেশে আসে। কিন্তু বেসরকারিভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশে আসার ক্ষেত্রে তাদেরকে অনেক সময় দীর্ঘ প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। এটি সহজীকরণের ব্যাপারে তিনি মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
মন্ত্রী এ বিষয়ে বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অবগত। এ প্রক্রিয়ায় সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ছাড়াও সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থা সংশ্লিষ্ট। ইতোমধ্যে তাদের সাথে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা হয়েছে । এক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে বলে তিনি হাইকমিশনারকে আশ্বস্থ করেন।
কুষ্টিয়ার শিলাইদহে রবীন্দ্র কুঠিবাড়ীতে নির্মিতব্য রবীন্দ্রভবন ও তৎসংলগ্ন অবকাঠামোর নকশা অবলোকন করে  তিনি বলেন, এটি নির্মাণের ব্যাপারে অর্থসহ সার্বিক সহযোগিতা প্রদানে তাঁর দেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অচিরেই এর নির্মাণ কাজ শুরু হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বৈঠকে দু’দেশের প্রতœসম্পদ নিয়েও আলোচনা করা হয়। বাংলাদেশের সমৃদ্ধ প্রতœসম্পদের খনন, পুনরুদ্ধার, রক্ষণাবেক্ষণ ও সংরক্ষণের ব্যাপারে অর্থ, বিশেষজ্ঞ ও পর্যাপ্ত দক্ষ জনবলের অপ্রতুলতার বিষয়টি উল্লেখ করে এক্ষেত্রে ভারতের সহযোগিতা কামনা করা হয়।  
সভা ও সিম্পোজিয়াম আয়োজন, প্রশিক্ষণ ও কারিগরী সহায়তা বিনিময়সহ দু’দেশ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যৌথভাবে কাজ করতে পারে বলে ভারতের হাইকমিশনার মন্তব্য করেন।