Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৩ জুলাই ২০১৫

আরমেনিয়ার সংস্কৃতিমন্ত্রী এর সাথে বাংলাদেশের সংস্কৃতিমন্ত্রী জনাব আসাদুজ্জামান নূর এর সৌজন্য সাক্ষাত


প্রকাশন তারিখ : 2015-07-13

সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর ১০-১৪ জুলাই ২০১৫ আরমেনিয়ায় অনুষ্ঠিত ‘Cultural Policy, Policy for Culture: The Role of Culture in Sustainable Development in Post-2015 Agenda’  শীর্ষক ৩য় আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য বর্তমানে আরমেনিয়ায় অবস্থান করছেন। তিনি ১১ জুলাই আরমেনিয়ার সংস্কৃতিমন্ত্রীর কার্যালয়ে সেদেশের সংস্কৃতিমন্ত্রী Hasmik Poghosyan এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন। সৌজন্য সাক্ষাতে সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে উভয়ের মধ্যে আলোচনা হয়।

সৌজন্য সাক্ষাতে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের সাথে ৪০টি দেশের সাংস্কৃতিক চুক্তি রয়েছে। কিন্তু আরমেনিয়ার সাথে নেই। এ চুক্তি সম্পাদনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ অচিরেই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। একই সাথে সাংস্কৃতিক বিনিময় কার্যক্রম চালুর ব্যাপারেও উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

আরমেনিয়ার সংস্কৃতিমন্ত্রী Hasmik Poghosyan বলেন, বাংলাদেশের শিল্প-সাহিত্য অনেক সমৃদ্ধ। আরমেনিয়ার শিল্প-সাহিত্যও সমাদৃত ও সুপরিচিত। দু’দেশ সংস্কৃতি বিনিময়ের মাধ্যমে একে অপরের আরও কাছে আসতে পারে। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশের সাথে আরমেনিয়া সাংস্কৃতিক চুক্তি ও সাংস্কৃতিক বিনিময় কার্যক্রম সম্পাদনের ব্যাপারে অত্যন্ত আগ্রহী। বাংলাদেশ থেকে এ ব্যাপারে যে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে আরমেনিয়ার তাতে সম্মতি থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

আসাদুজ্জামান নূর বলেন, আরমেনিয়ার সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক সুদীর্ঘসময়ের। আঠার শতকে আরমেনিয়ার ব্যবসায়ীরা ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রয়োজনে এদেশে এসেছিল। তাদের সেসময়ের অনেক স্মৃতি নিদর্শন এখনও ঢাকায় রয়েছে। এ সম্পর্কের ধারাবাহিকতায় দু’দেশের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার জন্য সংস্কৃতি বিনিময় আজ অপরিহার্য একটি বিষয়।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিকসহ বিভিন্ন দিক দিয়ে দ্রুত অগ্রগতি সাধন করছে এবং ইতোমধ্যে বাংলাদেশ নিম্ম মধ্যম আয়ের (Lower Middle Income) দেশে পরিণত হয়েছে। এ দেশের শিল্প-সাহিত্যও অন্যান্য সূচকের সাথে সমান তালে এগিয়ে যাচ্ছে। এ শিল্প-সাহিত্যসহ বিভিন্ন বিষয়ে আরমেনিয়ার সাথে বাংলাদেশের কাজ করার সুযোগ রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আরমেনিয়া প্রত্নসম্পদের দিক থেকে অনেক উন্নত দেশ। বাংলাদেশেরও প্রচুর প্রত্নসম্পদ রয়েছে। কিন্তু এগুলোর খননকার্য পরিচালনা, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আমাদের পর্যাপ্ত কারিগরি জ্ঞানের অভাব রয়েছে। আরমেনিয়া এ বিষয়ে তাদের অর্জিত অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা বাংলাদেশের সাথে বিনিময় করতে পারে। এছাড়া দু’দেশ চারুকলা, নাটক, সংগীত, চলচ্চিত্রসহ শিল্প-সাহিত্যের নানা উপাদান নিয়ে বিস্মৃত পরিসরে কাজ করতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।  

সৌজন্য সাক্ষাতের এ পর্যায়ে আরমেনিয়ার সংস্কৃতিমন্ত্রী বলেন, আরমেনিয়ায় অনুষ্ঠিত এ আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশের সংস্কৃতিমন্ত্রীর অংশগ্রহণ দু’দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভিন্নমাত্রা সংযোজন করবে। শিল্প-সাহিত্যের বিনিময়সহ দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয়ে আরমেনিয়া আগামীতে বাংলাদেশের সাথে কাজ করতে চায় বলে তিনি মন্তব্য করেন।