Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২১st August ২০১৬

সংস্কৃতিমন্ত্রীর সাথে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত


প্রকাশন তারিখ : 2016-08-18

সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর আজ ১৮ আগস্ট ২০১৬ বৃহস্পতিবার সচিবালয়স্থ তাঁর অফিস কক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত Marcia Stephens Bloom Bernicat এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এসময় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব আক্‌তারী মমতাজ ও সংস্কৃতি উপদেষ্টা (উপসচিব) মো: মফিদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। এ সাক্ষাতে সংস্কৃতি সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করা হয়।

সৌজন্য সাক্ষাতে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধুরাষ্ট্র। দেশ দু’টি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন বিষয়ে একে অপরের সাথে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সামনের দিনগুলোতে কাজের ক্ষেত্র আরও বিস্তৃত হবে এবং এ প্রক্রিয়ায় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে মর্মে তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সাথে চল্লিশটিরও বেশি দেশের সাংস্কৃতিক চুক্তি রয়েছে এবং এর অধিকাংশ দেশের সাথে সাংস্কৃতিক বিনিময় কার্যক্রম চলমান আছে।  কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সাথে নেই। সাংস্কৃতিক যোগাযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে দু’দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক চুক্তি ও সাংস্কৃতিক বিনিময় কার্যক্রম স্থাপনের ওপর তিনি গুরুতা¡রোপ করেন।

তিনি বলেন, বর্তমানে কিছু সাম্প্রদায়িক শক্তি এদেশেকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু বর্তমান সরকার জনগণকে সাথে নিয়ে তা কঠোর হাতে দমন করছে। বাংলাদেশের মানুষ শান্তিকামী উল্লেখ করে তিনি বলেন, এদেশে  জঙ্গিবাদীদের কোন স্থান হবে না, মানুষ তাদেরকে কখনও মেনে নেবে না।

অপশক্তির মোকাবেলায় তাঁর মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা তুলে ধরে আসাদুজ্জামান নূর বলেন, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও এর অঙ্গপ্রতিষ্ঠানগুলো এদেশের  ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে ধারন, লালন, সংরক্ষণ ও বিকাশের মাধ্যমে একটি অসাম্প্রদায়িক, জ্ঞানদীপ্ত ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন সমাজ বিনির্মাণে অত্যন্ত তৎপর রয়েছে। অন্ধকারের শক্তিগুলোকে রুখে দিতে এ মন্ত্রণালয় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে। উদাহরণ হিসেবে কয়েক দিন অগে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত ‘জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সাংস্কৃতিক জাগরণ’ শীর্ষক চারদিনব্যাপী বাউল সমাবেশের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন,  এ সম্মেলনে দেশের প্রায় ৩০০জন বাউল অংশগ্রহণ করে বাউল গান ও দেশীয় বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে সমস্বরে অন্ধকারের শক্তিকে মোকাবেলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে। এরকম অনেক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে এবং মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিভিন্ন বেসরকারি সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকেও নানাভাবে সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে মর্মে তিনি রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন।

মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক অত্যন্ত দৃঢ়। পারস্পরিক আস্থা, বিশ্বাস ও সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ থেকে দু’দেশ সুদীর্ঘ সময় ধরে বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় বিষয়ে একে অপরের সাথে কাজ করে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র নানাক্ষেত্রে সবসময় বাংলাদেশকে সাহায্য-সহযোগিতা করে আসছে। আগামীতে এ সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে পাশাপাশি তা আরও বিস্তৃত হবে বলে তিনি সৌজন্য সাক্ষাতে আশা পোষণ করেন।