Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৯ জুন ২০১৭

ইউনেস্কোর সাংস্কুতিক বৈচিত্র্য রক্ষা সম্মেলনে সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় সংস্কৃতিমন্ত্রীকে সংবর্ধনা


প্রকাশন তারিখ : 2017-06-19

ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য রক্ষা সম্মেলন The conference of Parties to Convention on the Protection and Promotion of the Diversity of Cultural Expressions) ‘6th Conference of Parties’ এ সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরকে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও এর দপ্তর/সংস্থার পক্ষ থেকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। আজ সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠান হয়। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মোঃ ইব্রাহীম হোসেন খান, অতিরিক্ত সচিব মোঃ আমিনুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব সামছুন্নাহার বেগম, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ আলতাফ হোসেন, গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আশীষ কুমার সরকার, নজরুল ইন্সটিটিউটের নির্বাহী পরিচালক মোঃ আব্দুর রাজ্জাক ভূইঞা , গ্রন্থাগার ও আরকাইভস্ অধিদপ্তরের পরিচালক মোঃ মজিবুর রহমান আল-মামুন, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক রবীন্দ্র গোপ, কপিরাইট অফিসের রেজিস্টার জাফর রাজা চৌধুরীসহ মন্ত্রণালয় ও দপ্তর/সংস্থার প্রধানগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে সংস্কৃতিমন্ত্রী অনুভূতি ব্যক্ত করেন এভাবে, এটি বাংলাদেশ সরকারের একটি কূটনৈতিক সাফল্য। বাংলাদেশ যে ক্রমাগত এগিয়ে যাচ্ছে সমৃদ্ধির পথে তা এ সম্মেলনে উপস্থিত সব দেশের প্রতিনিধিগণ বিশেষ করে ইউনেস্কোর মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট সবাই অবগত আছেন। তাঁরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ও সবক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। বাংলাদেশ সফলভাবে এ সম্মেলন পরিচালনা করেছে এবং সবদিক দিয়ে সম্মেলনে বাংলাদেশের উপস্থিতি ছিল উজ্জ্বল। এটি আমাদের জন্য এক বড় অর্জন যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করেছে।

বাংলাদেশ যে ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য রক্ষা সম্মেলনে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে তা গত ৩ জুন ২০১৭  ইউনেস্কোর সদর দপ্তর থেকে এক ই-মেইল বার্তায় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়। ১২ থেকে ১৫ জুন প্যারিসে ইউনেস্কোর সদর দপ্তরে আয়োজিত এ সম্মেলন ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। ইউনেস্কোর আমন্ত্রণে এ সম্মেলনে যোগ দিতে সংস্কৃতিমন্ত্রী গত ৯ জুন প্যারিসের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন। সম্মেলন শেষে তিনি গতকাল দেশে ফিরে আসেন।

ই-মেইল বার্তার ঘোষণা অনুযায়ি গত ১৩ জুন এ সংশ্লিষ্ট আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। ইউনেস্কোর সদর দপ্তর প্যারিসে আয়োজিত এ সম্মেলনে এদিন আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ ‘৬ঃয ঈড়হভবৎবহপব ড়ভ চধৎঃরবং’ এ সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়। সম্মেলনে সভাপতি হিসেবে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এর নাম সর্বপ্রথম  ইন্দোনেশিয়া প্রস্তাব করে। পরে ভারত ও ইতালি প্রস্তাব করে। এ প্রস্তাবে সম্মেলনে উপস্থিত ইউনেস্কোর সদস্য দেশের প্রতিনিধিগণ সমর্থন জানালে সর্বসম্মতিক্রমে তিনি সম্মেলনের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন এবং সভাপতির আসন গ্রহণ করেন। পরে সভাপতি হিসেবে তিনি অনুষ্ঠানসূচি অনুযায়ি সম্মেলনের সবকটি সেশন পরিচালনা করেন।

প্রতি দু’বছর পর পর এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ আগামী দু’বছরের জন্য অর্থাৎ সপ্তম সম্মেলন না হওয়া পর্যন্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

এ সম্মেলনে বক্তৃতায় সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর আমাদের গৌরবদীপ্ত ভাষা আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস উপস্থিত সবার সামনে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সহস্রাব্দ প্রাচীন, আবহমান, বৈচিত্র্যময় ও সমৃদ্ধ। বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বৈচিত্র্য সংরক্ষণে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়। এ বিষয়টি আমাদের সংবিধানেও অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে অন্তর্ভূক্ত আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বৈচিত্র্যের লালন, বিকাশ, উন্নয়ন ও সংরক্ষণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি এ সংক্রান্ত নানা উদ্যোগের কথা সবার সামনে তুলে ধরেন। মর্যাদাসম্পন্ন এ সম্মেলনে সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশকে নির্বাচিত করায় এবং সম্মেলন সঠিক ও সুচারুরূপে সম্পন্ন হওয়ায় তিনি সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি আগামীবছর বাংলাদেশে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য বিষয়ক একটি সম্মেলন করার বিষয়ে আশা পোষণ করেন।